মেজবা হকঃ হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয়উৎসব দূর্গা পূজা।এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তুলনামূলক বেশি ৷সে কারনে পূজার সময়টা নওগাঁ শহর বেশ জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে থাকে৷ আর উৎসবকে কেন্দ্র বেড়ে যায় যানবাহন ৷ বিশেষ করে প্রেট্রল এর চাহিদা তিন থেকে চারগুন বেড়ে যায় ৷ আর প্রতিটি উৎসবকে ঘিরেই এক শ্রেণীর অসাধু পাম্প মালিকরা বিভিন্ন পাড়া মহল্লার দোকানীদের কাছে জারকিনে অবৈধভাবে প্রেট্রল বিক্রি করে দিচ্ছে ৷শহরের সব পাড়া মহল্লার আনাচে কানাচে সব দোকানেই পাওয়া যায় পেট্রল ৷ যদিও বিস্ফোরক আইনে তা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ ৷ ১ লিটার প্রেট্রল দোকানীরা বিক্রয় করছেন প্রায় ১৪৫ টাকায় ৷ যার দরুন শহরের পাম্প গুলোতে প্রেট্রল সংকট দেখা যায় ৷যেহেতু অকটেনের চাহিদা দামের কারনে একটু কম সে কারনেই পাম্প মালিকেরা এই সময়গুলোতে অকটেন বিক্রিতেই বেশি আগ্রহ দেখায় ৷আবার পাম্প মালিকরা বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো ও ১ থেকে ২ জন কর্মচারী দিয়ে ইচ্ছেমতোই তাদের সুবিধার্থে খোলা বাজারে একবারে সব প্রেট্রল বিক্রি করে দিচ্ছেন ৷এতে করে সাধারন জনগণ এক প্রকার বাধ্যহয়েই বেশি মূল্যে অকটেন কিনছেন, তার উপর দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা৷ নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে শাকিব পেট্রোল পাম্পে পেট্রোল কিনতে আসা ক্রেতা মাহবুব আলম বলেন, এমনিই জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধি তার উপর এই পাম্পে বেশির ভাগ সময় পেট্রোল মিলেনা ৷ তাই বাধ্য হয়েই বেশি দামে অকটেন কিনছি ৷ আমার বাইক পেট্রোলে মাইলেজও ভাল দেয় ৷ আর সবচেয়ে কষ্ট হচ্ছে দীর্ঘ লাইনে ভ্যাপসা গরমে অসস্তির মধ্যে দুই লিটার অকটেনে প্রায় ১২ টাকা বেশি দিয়ে অকটেন সংগ্রহ করতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান এই পাম্প আবার রাত্রি ১০.০০ টার সময় বন্ধ হয়ে যায় ৷ শহরের কেন্দ্রস্থলে হওয়ায় এবং সরকারী যানবাহনে এককভাবে তেল সরবরাহ করায় এই পাম্পে ভোগান্তি বেশি ৷ তাই তিনি বলেন, সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের গাড়ী গুলো যদি অন্য পাম্প গুলো থেকে তেল সংগ্রহ করত তাহলে সবার জন্যই ভালো হতো৷ এ ব্যাপারে তিনি জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষর্ণ করছেন ৷নওগাঁ মুক্তির মোড়ে অবস্থিত মেসার্স শাকিব ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মোশারফ বলেন, প্রতিদিন গড়ে পেট্রোল এর চাহিদা প্রায় ৩০০০ লিটার আর অকটেন ও ডিজেল মিলিয়ে প্রায় ৩০০০ লিটার ৷