সাদ্দাম হোসেন,মহাদেবপুর প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মহাদেবপুরে বিয়ের একদিন পরে স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিষ পানে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রীর সহযোগিতায় তার আত্মীয় স্বজনরা তরিঘরি করে লাশ দানের চেষ্টা করে।খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় বাদী হয়ে নিহতের পুত্র প্রাথমিক ভাবে থানায় ইউডি মামলা করেছেন।গত ৭ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের ওমর আলী(৫২) নামে এক ব্যাক্তির মৃতদেহ থানা পুলিশ উদ্ধার করে।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় বিবাহ বিচ্ছেদের দুই বছর পর পুনরায় ওমর আলী গত ৫ অক্টোবর বুধবার রাতে তার সাবেক স্ত্রী ফজিলা বেগমকে (৪৮) বিয়ে করেন।বিয়ের পরদিন স্বামী-স্ত্রী তাদের বলরামপুর গ্রামের বাড়ীতে রাত্রিযাপন করে।বিয়ের পরের রাতে ওমর আলীকে লাশ হতে হলো স্ত্রীর হাতে। এদিকে স্থানীয় লোকজন ও থানা পুলিশের ধারনা দীর্ঘ দুই বছর বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষোভ ও ক্রোধের বশবর্তী হয়ে স্ত্রী ফজিলা বেগম তার স্বামী ওমর আলীকে পূর্বপরিকল্পিত গ্যাসের বিষের বড়ি খাইয়ে হত্যা করেছে।এ ঘটনায় নিহতের পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে থানায় ইউডি মামলা করেছেন। স্থানীয়রা জানান, বলরামপুর গ্রামের মৃত আফছার আলীর পুত্র ওমর আলী পারিবারিক বিরোধের জেরে দুই বছর আগে স্ত্রী ফজিলা বেগমের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান।তাদের সংসারে এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। দীর্ঘ দুই বছর পর গত বুধবার রাতে আত্মীয়স্বজনরা পুনরায় তাদের বিয়ে দেন।বৃহস্পতিবার রাতে ওমর আলী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আত্মীয়স্বজনরা চিকিৎসার জন্য তাকে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।সেখানে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রহস্যজনক এ মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রী ফজিলা বেগমের বিরুদ্ধেই স্বামী ওমর আলীকে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের লোকজন।মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।তবে ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।