মাসুদ রানা,পত্নীতলা প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলায় বটতলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪তুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে সম্মানি গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে পত্নীতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তবে তদন্তে কোন আর্থিক সংশ্লিষ্টতা পাননি। গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৯ তারিখে পত্নীতলা বটতলী দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রসিদ বাদী হয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন । অভিযোগে বটতলী দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রসিদ উল্লেখ করেন, সম্প্রতি আমার বিদ্যালয়ে ৩ জন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। উক্ত নিয়োগে সন্মানী হিসাবে আমি আমার প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সাহেবের সাক্ষাতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয়কে একটি খামে ২৫ হাজার টাকা এবং আলাদা ভাবে গাড়ি ভাড়া বাবদ ৩ হাজার টাকা দেই। এতে তিনি অসন্তোষ প্রকাষ করে গালিগালাজ করেন । আমার বিদ্যালয় ছাড়াও অন্যান্য বিদ্যালয়ে নিয়োগের জন্যও টাকা নেন তিনি এবং আগাম টাকা না দিলে তিনি নিয়োগ বোর্ডেই যায় না। শিক্ষা কর্মকর্তার এসব অনিয়ম নিয়ে কোন শিক্ষক মুখ খুললে তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখান। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর চলতি মাসের ১৩ তারিখে এক চিঠিতে নজিপুর সরকারি কলেজের অধক্ষ্যকে সরেজমিনে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রসিদ বলেন এসব লেনদেনের তো মানি রিসিভ থাকেনা আমরা অভিযোগ দিয়েছি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত করেছে তদন্তে কি পেয়েছে সেটা তো আমরা জানিনা এ বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসহাক আলী টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন কতিপয় শিক্ষকের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে বদলী করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব কুৎসা রটাচ্ছে। অভিযোগ পত্রে অন্য শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা নজিপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সাঈদুর রহমান বলেন তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে তবে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় নি।