মেজবাউল হক,নওগাঁঃ নওগাঁর কীত্তিপুরে লাল শিম চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন কৃষকরা৷ সরেজমিনে দেখা যায় বেগুনী রংয়ের ফুলে ও ফলে ভরে উঠেছে কৃষকের ক্ষেত ৷নওগাঁ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা নাজনীন বলেন, এটি মূলত বুলবুলি জাতের শিম ৷ শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহে সাধারনত রোপন করতে হয় ৷ গাছে ফল আসতে সময় লাগে ২ মাসের মতো ৷ পুকুরের পাড় অথবা উঁচু জমি বেছে নেওয়া কৃষকদের জন্য ভালো ৷ সময়মতো কীটনাশক প্রয়োগ করলে বিঘাপ্রতি ফলন প্রায় ২০ থেকে ২২ মনের মধ্যে পাওয়া যায়। কীত্তিপুরের স্থানীয় কৃষক সাইফুল বলেন, আমি আমার লিজ নেওয়া পুকুর পাড়ে এই শিম আষাড়ের শেষে রোপন করেছিলাম ৷ পূর্বে পুকুরের প্রায় ১ বিঘা পাড় খালিই পড়ে থাকত ৷ কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি এই গত বছর থেকে চাষ করছি ৷ আমরা এই শিমকে লাল শিম বলি ৷ এই শিম দেখতে কিছুটা লালচে ৷ খেতেও মিষ্টি ৷ মোটামুটি ৬০-৭০ দিনের মধ্যেই ফল দানা বাধতে থাকে ৷ বিচি বা দানা হলে বেশ ওজন হয় ৷ গত বছর প্রতি বিঘায় ফলন পেয়েছি সপ্তাহে প্রায় ৬ মন ৷ প্রতি মন দাম পেয়েছি ৮০০ টাকা৷ এই পতিত জমিতে যা পেয়েছি খারাপ নয় ৷ পুকুর তো চাষ করছিই ৷ এ বছরও তাই এই লাল শিম চাষ করেছি ৷ তবে পোকার আক্রমন গেল বারের তুলনায় অনেক বেশি ৷তবে কৃষি অফিসের পরামর্শে কীটনাশক স্প্রে করায় গাছে ফুলও ফলে ভরে গেছে ৷ তবে দাম নিয়ে একটু শঙ্কায় আছি ৷ কারন সার কীটনাশক বাঁশের মাচা তৈরিতে বেশ ভালোই খরচ হয়েছে ৷ তবে যদি ১০০০ টাকা মন পাই তাহলে লাভের মুখ দেখব ইনসাল্লাহ ৷ আর আপনাদের মতো সাংবাদিক থাকলে আমাদের কথা গুলো সরকার জানতে পারবে বিধায় বাজার দর ও সঠিক পাবো বলে মনে করছি ৷