সবুজ হুসাইন,নওগাঁঃ মানুষ একটু ছুটি বা অবসর পেলেই বিভিন্ন পার্ক বা উদ্যানে ঘুরতে যান প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভের আশায়। এই কর্মব্যস্ত, যান্ত্রিকতার মধ্য থেকে কিছুটা সময় খোলা আকাশের নিচে কাটানোর জন্য ছুটে যান পার্ক বা উদ্যানে। পার্ক বা উদ্যান এখন অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠছে অশ্লীলতা।
বিনোদনের জন্য তৈরি হলেও নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার আব্দুল জলিল শিশু পার্কে বিনোদনের নামে প্রকাশ্যে চলছে অশ্লীলতা, অসামাজিক কার্যকলাপ। সর্বত্র অশ্লীলতার ছড়াছড়ি পার্কটিতে। বিনোদন বলতে কিছুই নেই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই পার্কটিতে অসংখ্য প্রেমিক যুগলের ভীড়।
সরজমিনে দেখা গেছে, আব্দুল জলিল শিশু পার্কে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া অপ্রাপ্তবয়ষ্ক যুবক-যুবতী অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। প্রেম ভালোবাসার নামে এখানে লঙ্ঘন হচ্ছে অবাধ মেলামেশা ও অশ্লীলতার চরম সীমা। প্রেমের নামে নির্লজ্জহীন তরুন, তরুনী, কিশোর কিশোরীরা আবেগঘন মুহুর্ত পার করছে এখানে। পার্কের মধ্যে ঘুরে দেখা গেছে, হরেক রং বেরংঙের কাপড়, স্কুল-কলেজের নির্ধারিত পোশাক, বোরকা পরে প্রেমিকদের সাথে আদান প্রদান চালাচ্ছে প্রেমিকারা। ভালোবাসার নামে প্রকাশ্যেই তারা একে অপরকে জড়িয়ে নানা আপত্তিকর কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে। প্রেমের নামে সাময়িক সুখ পেতে জলাঞ্জলি দিচ্ছে নিজেদের আত্মসম্মান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পার্কে ঘুরতে আসা আশপাশের লোকজনকেও তোয়াক্কা করছে না সেই সকল তরুন তরুনীরা। নিষিদ্ধ আকাঙ্খা মিটানোর সময় ঠিক থাকে না তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ। পার্কের ঘাস ও গাছের নিচের জায়গাগুলো তাদের বিছানায় রূপ নেয়। পার্কে ঢুকেই দেখা গেছে, সারি সারি প্রেমিক যুগল বসে আছে। এদের মধ্যে স্কুলের ইউনিফর্ম পরা জুটিও রয়েছে। বেশির ভাগই স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিচ্ছে তারা।
পার্কের পাশে থাকা স্থানীয়রা জানান, এসব অসামাজিক কাজ এখানে প্রায় হয়ে থাকে। তবে তারা জানান পার্কের কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসন যথাযথভাবে পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে এসব অশ্লীল আর অসামাজিক কাজ বন্ধ করা সম্ভব হতো।
পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমাদের শেলটারে এগুলো হচ্ছে পারলে আপনারা বন্ধ করেন। আব্দুল জলিল শিশু পার্কের ম্যানেজার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা কার অনুমতিতে পার্কের ভেতরের এমন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি এবং ভিডিওগুলো ধারণ করেছেন। সাংবাদিকদের কোন রাইটস নেই আমাদের পার্কের ভেতরের ফুটেজ ধারণ করার।
নওগাঁ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট এ. কে. এম. ফজলে রাব্বি বলেন, পূর্বে আমরা এমন অভিযোগ পেয়েছি ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছিলাম বন্ধ হয়েছিল এসব কিন্তু আবার চালু হয়েছে তা জানতাম না। আমরা শীঘ্রই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কারণ এগুলো খুবই গর্হিত কাজ একদম অবৈধ কাজ। আমরা শুনেছি কলেজ এবং স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা এ ধরনের কার্যকলাপে লিপ্ত।