1. admin@dailynaogaonnews.com : admin :
রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁয় সন্ধানী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোঃ লিঃ এর ২২ লাখ(প্রায়) টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলার বাগমারা ও নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার দুইটি গ্রাম পেতে যাচ্ছে শহরের সকল সুযোগ-সুবিধাগুলোই ধামইরহাটে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ উদ্বোধন ধামইরহাটে কৃষি প্রাণিসম্পদ ও মৎস খাতের উদ্যোক্তাদের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ প্রশিক্ষণ উদ্বোধন নওগাঁর ধামইরহাটে নতুন ইউএনও হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহণ করলেন আবু হাসান ধামইরহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হলেন হানিফুল ইসলাম নওগাঁর মহাদেবপুর ডাসকো ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সম্প্রীতি মেলা অনুষ্ঠিত নওগাঁয় মতবিনিময় সভায় প্রাণি ও মৎস্য সচিব ড.নাহিদ রশীদ নওগাঁয় প্রথমবারের মত জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত হলো নওগাঁর পত্নীতলায় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন

সাপাহারে কোরবানিকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩
  • ১২ বার পঠিত

মনিরুল ইসলাম,সাপাহার প্রতিনিধি: মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য পশু কোরবানির মধ্যে দিয়ে পালিত হয় পবিত্র ঈদুল আজহা। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। মুসলিম উম্মাহর মাঝে যা কোরবানির ঈদ বলে পরিচিত। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা প্রিয় পশুটি জবেহ করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য অপেক্ষমান। এই কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে নওগাঁর সাপাহারে মাংস কাটার সরঞ্জাম বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। দা,বটি, হাসুয়া, চাপাতি, ছুরি সহ নানাবিধ সরঞ্জাম তৈরী করছেন কামাররা। টুং-টাং শব্দে মুখরিত কামারশালাগুলো। কিছু সরঞ্জাম নতুন বানাচ্ছেন আবার পুরাতন গুলো শান দিচ্ছেন তারা। যেন কোরবানির আমেজে মেতে উঠেছে কামারশালাগুলো ।

বছরের অন্যান্য দিন গুলোতে তেমন কাজ হাতে থাকেনা কামারশালায়। সেসময়গুলোতে অলস সময় পার করলেও কোরবানির ঈদে যেন ব্যস্ততা চতুর্গুণ বেড়ে যায়। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে কর্মব্যস্ততা। বেড়ে যায় তৈরীকৃত জিনিসগুলোর দাম। বছরের এই সময়টিতে তাদের লাভও বেড়ে যায় অনেকাংশে। যার ফলে সময় নষ্ট করতে নারাজ কামাররা। এই ব্যস্তমুখর সময় চলে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত। তবে কয়লা, লোহা সহ পারিশ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধি হবার ফলে আগের মতো লাভ নেই বলে জানান কামাররা। তবে পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতেও যেন বদ্ধপরিকর তারা। যার ফলে কোরবানির ঈদে ব্যস্ততার মাঝে ডুবে থাকেন তারা।

একসময় সকালে ঘুম থেকে উঠলেই কামারপড়ায় শোনা যেত কামারশালার টুং-টাং শব্দ। বর্তমানে অনেকাংশে কম শোনা যায়। বর্তমানে আধুনিকায়ন হবার ফলে রেডিমেড জিনিসপত্রের কদর বেড়েছে। যার ফলে তৈরীকৃত জিনিপত্রের চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় কামারেরা।
সাপাহার উপজেলার বেশ কয়েকজন কামারের সাথে কথা হলে তারা বলেন, “বর্তমান সময়ে সারাবছর ব্যবসায় মন্দা চলে। তবে এই উপজেলার কৃষিপণ্য যেমন ধান, গম, পাট, কালাই ইত্যাদি হারভেস্ট করার জন্য কাস্তে ব্যবহার করা হয়। যে কারনে সেসব মৌসুমে কিছুটা ব্যবসা চললেও তা দিয়ে তেমন লাভ হয় না। আমরা এই কোরবানীর সময়ের অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু এই সময়টাও রেডিমেড জিনিসপত্র বাজারে আসার ফলে আগের মতো মুনাফা হয় না।এই কারণে অনেকেই পেশা বদলিয়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছে।”

উপজেলার থানা রোডে কর্মরত সুকুমার কর্মকার বলেন, “এখানে ছোট্ট একটি জায়গা নিয়ে কর্মকার ব্যবসা চালাই। উপজেলা সদরে প্রতি সপ্তাহে শনিবারে একটি হাট বসে । পূর্বে ইরি ও আমন মৌসুমে এই এলাকায় ধান কাটার জন্য কাস্তে ও আষাঢ় শ্রাবণ মাসে পাট কাটার জন্য বড় বড় হাসুয়া তৈরির বায়না পেতাম। এখন হাটে বাজারে লোকের তেমন সমাগম নেই।”
বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিটি দা তৈরিতে প্রকারভেদে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ২শ’ থেকে ৪শ’ টাকা পর্যন্ত। চাকু তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ১শ’ টাকা। বড় ছুড়ি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ৪-৫শ’ টাকা। বটি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে দেড়শ টাকা থেকে আড়াইশ টাকা।
স্থানীয় ক্রেতারা বলেন “আর মাত্র কয়েক দিন পরেই ঈদ। গরু ও ছাগল জবাই দিতে এবং মাংস কাটতে দা,বটি, চাকু ও ছুরির প্রয়োজন। এজন্য বাজারে দা, বটি ও ছুরি কিনতে এসেছি । তবে গতবছরে এসব জিনিসের দাম খানিকটা বেশি।”

লোহার তৈরী জিনিপত্র পাইকারী বিক্রেতারা বলেন, “সারাবছরই তারা দা, বটি, চাকু, ছুরি বিক্রি করি।তবে কোরবানির মৌসুমেই এসব সরঞ্জামের কেনা-বেচার ধুম পড়ে। এবারও ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে কয়লা ও লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় কামারদের কাছ থেকে বেশি দামে এসব জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে। যার ফলে কিছুটা বেশি দামে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে।”

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© All rights reserved © 2022 Daily Naogaonnews
Theme Customized By Shakil IT Park