গোলজার রহমান,ধামইরহাট প্রতিনিধিঃ নওগাঁর ধামইরহাটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খেলনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল হিল মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে শারীরিক হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) দুপুর তিনটায় খেলনা ইউনিয়নের পশ্চিম চকভবানী এলাকার হরিচরণ মাহাতোর ছেলে মহেন্দ্র মাহাতো উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই তফসীলি জমি জেলা সরকারি জজ আদালতে বাটোয়ারা মামলা চলমান রয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মহেন্দ্র মাহাতোর বাবা হরিচরণ মাহাতো ৭৪ সালে দাতা হরি মাহাতোর কাছ থেকে বায়নানামা জমি রেজিস্ট্রি করেন। পরবর্তীতে ৭৫ সালে উল্লেখিত দাতার কাছ থেকে খোশ কবলা দলিল রেজিস্ট্রি করেন। এরপর থেকে খাজনা খারিজের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন তারা।
আরও জানা যায়, উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের দেউলবাড়ী ভেড়ম এলাকার মৃত ছয়েফ উদ্দিনের ছেলে নুরুজ্জামান উদ্দেশ্য প্রমাণিত ভাবে ওই তফসীলি জমি দাবী করে খেলনা ইউনিয়নের গ্রাম আদালত বরাবর অভিযোগ দায়ের করলে গত বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটায় চেয়ারম্যান আলহিল মাহমুদ চৌধুরীর নির্দেশে অসুস্থ হরিচরণ মাহাতোসহ তার পরিবারকে টেনে হেঁচড়ে জোরপূর্ব পরিষদে নিয়ে সাদা কাগজে সই করতে বলেন। একারণে তারা প্রশাসনের কাছে আইনগত সহযোগিতা কামনা করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ধামইরহাট উপজেলা শাখা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রদীপ কুমার আগারওয়ালা বলেন, ‘ জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে দেওয়ানি আদালতে যেহেতু একটি মামলা আছে সেখানে চেয়ারম্যান উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ভুক্তভোগীর বাবা হরিচরণ মাহাতোসহ দুই ছেলেকে জোর করে ওনার গ্রাম্য সালিশের বৈঠকে মানসিক ও শারীরিক টর্চার করেন তা আমার বোধগম্য নয়।‘
খেলনা ইউপি চেয়ারম্যান আলহিল মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘শারীরিক হেনস্থা করার বিষয়টি মিথ্যা। গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তাদেরকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল কিন্তু জোরপূর্বক কোন কিছু করা হয়নি।‘
এ বিষয়ে উপজেলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোসা. জেসমিন আক্তার বলেন, ‘অভিযোগের কপি এখনো হাতে পাইনি।বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।‘