রবিউল ইসলাম মিনাল,রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ৫ নং গোগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এি বার্ষিক সম্মেলন এ সম্মেলনকে সামনে রেখে ইউনিয়ন বাঁশি ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ রা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী মাহাতাব উদ্দিন মাস্টার কে চায়।
এ বিষয়ে মাহাতাব উদ্দিন মাস্টার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান আমি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য আমার বংশে ও আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কেউ আয়নিক ভিন্ন অন্যকোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নয়। সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের আন্দোলনের সময় আমি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিলাম। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আমার গ্রামে চার-পাঁচটি পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। সে সময় আওয়ামী লীগ থেকে গোদাগাড়ী তানোর সংসদীয় আসনের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন এ্যাডভোকেট মহসীন আলী।
ভোটের প্রচার কাজে তিনি একবার গ্রামে এসেছিলে তখন আমি একজন আওয়ামী লীগের কিশোর কর্মী হিসেবে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস দেখাশোনা ও দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টার লাগানো ও এলাকার বিভিন্ন স্থানে নৌকার ছবি ছাপিয়ে নির্বাচনী কাজে অংশ নিয়েছিলাম। সে সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী এডভোকেট মহসিন চাচা নির্বাচনী প্রচার কাজে আমাদের এলাকায় আসলে সেই সময়ে প্রয়াত ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবু বাক্কার এলাকায় দেওয়ালে আমার হাতে আঁকা নৌকার ছবি দেখিয়ে ,আমাকে তার সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি আমার হাতের নৌকার ছবি দেখে অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। পরবর্তী নির্বাচন অর্থাৎ ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে একই ভূমিকা পালন করি। ১৯৯৫ সালে আমি এসএসসি পাশের পর রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হই ১৯৯৭ সালে গোগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভোটে নির্বাচিত হয়ে ছাত্রলীগের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনে সমর্থ হই যা ইতিপূর্বে কোনদিন সম্ভব হয়নি।
২০০১ সালের নির্বাচনে বর্তমান সংসদ আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরীর আগমন ঘটে আমার কাছে তিনি স্বপ্নের দেখা কিংবদন্তি হিসেবে মনে হয়েছিল আমার কাছে তাকে সত্যিকার অর্থে সে সময়ের যুগোপযোগী নেতা হিসেবে মনে হয়েছিল।
তাকে দেখে এবং তার কথা ও কর্মে মনে হয়েছিল এরকম নেতার মাধ্যমে সম্ভব ভালো কিছু করার। সে নির্বাচনে আমরা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও নির্বাচনে চারদলীয় জোটের কাছে হেরে গিয়েছিলাম। তারপর আমাদের ওপর শুরু হয় বিএনপি-জামাত জোটের অত্যাচার প্রথমে তারা আমাকে আমাদের তৈরি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে চাকরিচ্যুত করে। আমাদের পুকুর দখল করে নেয়। এছাড়াও তারা আমার গ্রামে স্বাভাবিক চলাফেরা তে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। অযাচিতভাবে নানারকম উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হেনোস্হা করার চেষ্টা চালায়। আমি বাধ্য হয়ে গ্রাম ছাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চলে যায়। সেখানে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে আমি চাকরি নেই। এভাবে ৬ মাস চাকরি করার পর আমি আবার গ্রামে ফিরে আসি। পরে আমি ২০০৩ সালে রাজশাহী কলেজে বিএ কোর্স ভর্তি হই। নানা অসুবিধার মধ্যে সময় অতিবাহিত হয়। অনেক ঘটনা ঘটার পর আমি স্কুলে চাকরি ফিরে পায়। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বিএনপি-জামাতের দূঃশাসন অপশাসন গূম খুন হত্যা ইত্যাদি মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল ।আমরা তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিব নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ি আমি তৎকালীন নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক নির্বাচনী সফর সঙ্গী হিসেবে গোদাগাড়ী আনাচে-কানাচে বেড়িয়েছিলাম। নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গঠন করে। পরে আমার নেতা ওমর ফারুক চৌধুরীর সহায়তায় ২০১২ সালের এপ্রিলে আমি নন এমপিওভুক্ত স্কুল ছেড়ে অত্র থানাধীন পালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করি। আমি অধ্যবধি সে বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।এবং পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং গোগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক সহ সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেছি সততার সঙ্গে।প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন,উপজেলা নির্বাচন,ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত মেনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি।আমার ইচ্ছে আমি আমার দলের উন্নয়ন জনগনের সেবায় বাকি জীবন নিয়োজিত থাকবো।
এ সময় ৫ নং গোগ্রাম ইউনিয়নের কর্মী এবং স্থানীয় লোকজনদের সাথে কথা বললে তিনারা জানান
সকলে বলেন মাস্টার সাহেব একজন ভালো মানুষ ঠান্ডা মেজাজের মানুষ কারো সাথে কোন ঝামেলায় জড়ায় না , তিনার নামে এলাকায় কোন খারাপ রিপোর্ট নাই,আমাদের এলাকায় তার চলাফেরা ভালো তাকে আমরা দলের সাথে অনেকদিন থেকেই দেখি দলের জন্য কাজ করে।
আমরা ৫ নং গোগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দেখতে চাই এই প্রত্যাশা করি।